Header Ads

Header ADS

মাদকের হাট বাগেরহাটের খানজাহান কলেজ ক্যাম্পাস

 





টাইমস ডেস্কঃ 

সম্প্রতি জাতীয় পত্রিকা দৈনিক পান্জেরীতে  “মাদকের হাট বাগেরহাটের খানজাহান কলেজ ক্যাম্পাস” শিরনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যেটি তাদের অনলাইন ভার্সনে ৬ই জুলাই ও প্রিন্ট ভার্সনে ৭ই জুলাই প্রকাশ করা হয়েছে। পাঠকদের সুবিধার্থে দৈনিক পান্জেরীর প্রতিবেদনটি হুবহু তুলে ধরা হলো।

“বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোর মধ্যে বাগেরহাটের ঐতিহ্য নানা কারণে দেশব্যাপী সমাদৃত। বিশেষ করে খানজাহান (রঃ) মাজার, সুন্দরবন ও ষাটগম্বুজ মসজিদ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। বাগেরহাট জেলা সদরে বেশ কয়েকটি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। পীর খানজাহান আলী স্মৃতি বিজড়িত পূণ্যভূমি বাগেরহাটের পিসি কলেজ এবং খানজাহান আলী কলেজ জেলার শিক্ষার্থীদের কাছে দামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রথম পছন্দের স্থান। নানা কারণে বর্তমানে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। এর মধ্যে মাদক সঙ্কটে ভুগছে খানজাহান আলী কলেজটি। খুলনা-বাগেরহাট হাইওয়ে সড়কের পাশে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে বাগেরহাট সদর উপজেলায় খানজাহান আলী কলেজের অবস্থান। যে কারণে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সকলের কাছে অতি পরিচিত।

 ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এখন মাদকের আখড়ায় পরিনত হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্রলীগ নামধারী কতিপয় অছাত্র বিকেলের দিকে মাদকের হাট বসান এখানে। এ নিয়ে সুধীমহলে ক্ষোভ থাকলেও ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করছে না। আর এ সুযোগে অছাত্র মাদকসেবীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। খানজাহান কলেজে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা আনুমানিক ৯ শতাধিক। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ১ম এবং ২য় বর্ষের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ শতাধিক। এছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও ক্লাশ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এখানে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও মাদকসেবীরা নিরাপদ আস্তানায় পরিনত করেছে কলেজ ক্যাম্পাসটি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তারা প্রায়ই রাজনৈতিক লেবাসধারী অছাত্রদের দ্বারা চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছেন। চাঁদা না দিলে নির্যাতনের ভয় দেখানো হয়। অনেক শিক্ষার্থী জেলা সদরের বাইরে থেকে আসা যাওয়া করেন বিধায় নিরবে সকল অত্যাচার মুখ বুঝে সহ্য করতে হয়। 

                                                                  

সূত্র জানায়, দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বকেয়া বেতন ও পরীক্ষার ফিস জমা দিতে এলে শুধুমাত্র পরীক্ষার ফিস জমা দিতে বাধ্য করা হয়। বাকী টাকা তারা হাতিয়ে নেন। কলেজ কর্তৃপক্ষ জেনেও ভয়ে প্রতিবাদ করছে না। এ অভিযোগ খানজাহান আলী কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের। তারা জানিয়েছে, অধিকাংশ মাদক কারবারীরা অছাত্র। কিন্তু ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করছে তারা। এদের ভয়ে কলেজের শিক্ষক এবং কর্মচারীরাও তটস্থ। তাদের চোখ রাঙানি থেকে কেউ রেহাই পাচ্ছে না। এতে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অভিভাকরাও তাদের সন্তানদের নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। 

মাদক কারবারীরা ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে। আর ঢাল হিসেবে ছাত্রলীগকে ব্যবহার করছে। এতে সুনাম হারাচ্ছে প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। সূত্র জানায়, কলেজ ছুটির পর বিকেলের দিকে মূলত তাদের রমরমা ব্যবসা শুরু হয়। চলে গভীর রাত অবধি। এ সুযোগে মাদকসেবনে দিন দিন আসক্ত হয়ে পড়েছে কলেজের কতিপয় শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় তরুনরা। তারা জড়িয়ে পড়ছে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে। কোন ক্রমেই তাদের রোধ করা যাচ্ছে না। 

তথ্যানুসন্ধানে তাজবিউল হোসেন রিজভী, আল আমিন সরদার রুবেল, শেখ তাইন এবং রাকিব হোসন মুন্না মাদক ব্যবসার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কলেজের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, তারা অছাত্র। কিন্তু ছাত্রলীগের পদধারি হওয়ায় ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করছে না। 

এ ব্যাপারে শনিবার রাতে খানজাহান আলী কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তাজবিউল হোসেন রিজভী দৈনিক পাঞ্জেরীকে বলেন, মাদক ব্যবসা তো দূরের কথা, আমি কোন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। তিনি মাদক ব্যবসা সংক্রান্তের অভিযোগ তদন্তের দাবি করেন। 

উক্ত কলেজের অধ্যক্ষ খোন্দকার আছিফ উদ্দিনের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, স্থানীয় জনসাধারণ, তরুন সমাজ, কলেজের শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণ মাদক ব্যবসার হাত থেকে কলেজকে নিরাপদ রাখতে জরুরি ভিত্তিতে সংসদ সদস্য এবং প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।”

নিউজ সূত্রঃ দৈনিক পান্জেরী

নিউজ লিংকঃ এখানে ক্লিক করুন

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.