Header Ads

Header ADS

স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকে রেখে নিখোঁজ নাটক, স্বামী গ্রেফতার




ডেস্ক রিপোর্ট:

 বাগেরহাটে টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে ৩৮ বছর বয়সী ফিরোজা বেগম রুমা নামের নিখোঁজ এক গৃহবধূর গলিত মরদেহ এক সপ্তাহ পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকাল ৪টার দিকে বাগেরহাট উপজেলার দেওয়ানবাটি গ্রাম থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আলী হোসেন মোল্লা ওরফে প্রেম আলীকে গ্রেফতার করেছে। পারিবারিক কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে ঘাতক স্বামী। নিহত ফিরোজা বেগম দেওয়াবাটি গ্রামের গফুর মোল্লার মেয়ে। গ্রেফতার প্রেম আলী বাগেরহাট শহরের নাগেরবাজার এলাকার আজিজ মোল্লার ছেলে। 

বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, আলী হোসেন মোল্লা প্রেম আলী দেড় বছর আগে সদর উপজেলার দেওয়ানবাটি গ্রামের গফুর মোল্লার মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা ফিরোজা বেগম রুমাকে বিয়ে করে স্ত্রীর বাবার বাড়িতে বসবাস শুরু করে। পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ২৯ জুলাই প্রেম আলী তার তৃতীয় স্ত্রী ফিরোজা বেগমকে হত্যা করে মরদেহ তার স্ত্রীর বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে। 

এর মধ্যে গত ৩ আগস্ট প্রেম আলী থানায় এসে তার স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে নিখোঁজের জিডি করে। স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ ঘরের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে রেখে গত এক সপ্তাহ ধরে ওই ঘরে বসবাস করে আয়াছিলেন ঘাতক স্বামী প্রেম আলী। নিখোঁজের খবর পেয়ে শনিবার বিকালে নিহত গৃহবধূর প্রথম পক্ষের মেয়ে পূর্ণিমা ও তার স্বামী রায়হান ব্যাপারীসহ পিরোজপুর থেকে নানা বাড়িতে এসে মায়ের ঘরে ঢুকেই পঁচা গন্ধ পান। এসময় পূর্ণিমা ও তার স্বামী টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকের স্লাভ খুললে একটি বস্তার মধ্যে তার মায়ের অর্ধগলিত মুখ দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরী সেবা থ্রীপল নাইনে(৯৯৯) কল দেয় । তখন ঘাতক প্রেম আলী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পূর্ণিমার স্বামী রায়হান ব্যাপারী তাকে ধরে ফেলে। 

৯৯৯ ফোন পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ঘাকত স্বামী প্রেম আলীকে পুলিশ গ্রেফতার ও নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে। ময়না তদন্তেরর জন্য অর্ধগলিত মরদেহ বাগেরহাট জেলা ২৫০ বেড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রেম আলী স্ত্রীকে হত্যা করে মরদেহ ঘরের টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে আর কেউ জড়িত কি না সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.