রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তীব্র ঔষধ সংকট, চিকিৎসা সেবা ব্যহত

 

রামপাল প্রতিনিধিঃ রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলতি ২২-২৩ অর্থ বছরে ঔষধ সরবরাহ না হওয়ায় তীব্র ঔষধ সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে রোগীরা পাচ্ছেন না তাদের কাংখিত সেবা। গত তিন মাস ধরে সরকারিভাবে ঔষধ সরবরাহ না পাওয়ায় কর্মরত চিকিৎসকদের চিকিৎসা দিতে হিমসিম খেতে দেখাগেছে। বিশেষ করে জরুরী বিভাগে ভর্তি হওয়া রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে অনেক। প্রান্তিক নিম্নআয়ের হতদরিদ্র  রোগীরা পড়েছেন মহা বিপাকে। চিকিৎসা সেবা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে।

সরেজমিনে হাসপাতাল ঘুরে ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সুকান্ত কুমার পাল এর কাছ থেকে জানা যায়, এ উপজেলায় প্রায় দুই লক্ষ মানুষের বিপরীতে বছরে ইনডোর ও আউট ডোরে প্রায় ৭৫ হাজার থেকে ৭৬ হাজার মানুষ চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। এর মধ্যে আউটডোরে প্রায় ৬০ হাজার রোগী প্রাথমিক চিকিৎসাসহ ও তাদের ঔষধ সরবরাহ করা হয়। ইনডোরে প্রায় ১৫/১৬ হাজার রোগীকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। একদিকে জনবল সংকট অন্যদিকে ঔষধ সরবরাহ কম থাকায় চিকিৎসা সেবা কিছুটা ব্যহত হচ্ছে।

সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বাজেটের ৭০ ভাগ অর্থ বরাদ্দ হয়। তার মধ্য থেকে ৭৫ ভাগ ঔষধ সরবরাহ করে ইডিসিএল। চাহিদা অনুযায়ী বাকি ২৫ ভাগ ঔষধ স্থানীয়ভাবে সরবরাহ করা হয়। গত ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বাজেটের যে ঔষধ বরাদ্দ পাওয়া গেছে তা জুন ২০২২ পর্যন্ত চলমান ছিল। নতুন বাজেট বরাদ্দ না আসায় বর্তমানে গত ইং ২০২২ এর জুলাই থেকে আগস্টের এই মাস ধরে তীব্র ঔষধ সংকট দেখা দেয়। শীগ্র ঔষধ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানানি এই  স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। ঔষধ সরবরাহ স্বাভাবিক হলে চিকিৎসা সেবায় আর ভোগান্তি পোহাতে হবেনা বলেও জানান তিনি।

উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে হাসপাতালে আসা আউট ডোরের রোগীরা জানান, হাসপাতালে এসে ডাক্তার দেখিয়েছেন। শুধু প্যারাসিটামল, অ্যান্টাসিড ও আয়রন ট্যাবলেট দিয়েছেন। অন্য ঔষধ এখানে সরবরাহ না থাকায় বাহির থেকে কিনে নিতে প্রেসক্রিপশন দিয়েছেন।

ইনডোরে ভর্তি থাকা রোগীরা জানান, এর আগে যখন হাসপাতালে ভর্তি হতাম তখন প্রায় ওষুধ হাসপাতাল থেকেই বিনামূল্য প্রদান করতো কিন্তু এখন প্রায় সব ঔষধ বাহির থেকে কিনে নিতে হচ্ছে। আগত রোগীরা ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করে বলেন, আমাদের খুলনা সিটি করপোরেশন এর মেয়র মহোদয় ও উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার মহোদয় একটু সুদৃষ্টি দিলে ঔষধ সংকটের সমাধান সম্ভব। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেন।