একটু আত্মসম্মানে বেঁচে থাকুক প্রতিটি মানুষের অস্তিত্ব
"আত্মসম্মান" খুব ছোট্ট একটা শব্দ। কিন্তু জীবনের জন্য ভীষণ প্রয়োজনীয়। অন্তত নিজেকে যারা আবেগ, অনুভূতি আর বিবেকের সমন্বয়ে মানুষ হিসেবে নির্বাচিত করেন তাঁদের জন্য বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন এই ছোট্ট শব্দটা। কিন্তু ভীষণ মজার ব্যাপার হলো, আজকাল সবার মুখেই কারণে অকারণে এই আত্মসম্মান নিয়ে ভীষণ রকম বুলি শোনা যায়। সবাই বেঁচে থাকেন আত্মসম্মান নিয়ে।অথচ সামান্য সুযোগ পেলেই নিজের সুবিধার জন্য যেকোনো মানুষের চামচামি করা এই তথাকথিত আত্মসম্মানে বেঁচে থাকা মানুষগুলোর বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়ায়।
যারা নিজেকে সম্মান করতে পারে না, তাঁদের কাছ থেকে অন্যকেউ সম্মান আশা করাটাও একরকম বোকামি। সময়ে অসময়ে প্রয়োজন কিংবা অপ্রয়োজনে অন্যকে ছোট করা, অসম্মান, অপমান কিংবা অবজ্ঞা করা যেনো এদের জীবনের দৈনন্দিন রুটিনের অংশ।অথচ দিনের শেষে এরাই চিৎকার করে বলে, নিজের সম্মানের কথা।আর এদের ঝুলিতেই যেনো বন্দী সব সফলতা।অথচ একটুখানি সম্মান নিয়ে যে মানুষটা বাঁচতে চান সব অপ্রোয়জনীয় অনুচরতাকে দুপায়ে মারিয়ে তার জন্য অপেক্ষা করে শুধুই ভৎর্সনা।ব্যর্থতার গল্পে জীবন হয়ে ওঠে নিকষ কালো কোনো মেঘের খন্ড চিত্র।
দিনশেষে জীবনে নেমে আসে যন্ত্রনার ভারী বর্ষণ।তবু নিজেকে অসম্মান করে কখনো তারা হয়ে উঠতে পারেন না অন্যকারো অনুচর। বরং সামন্য অর্জনের মাঝেই খুঁজে বেড়ান জীবন জুড়ে পূর্ণতার স্বাদ। তাদের কাছে প্রতিনিয়ত তৈরি হয় না সফলতার আকাশ ছোঁয়া কোনো গল্প। তৈরি হয় না টাকার পাহাড় কিংবা দামী রেস্তোরাঁর সেরা আহাড়।কী অদ্ভূত! কতো বিচিত্র আমাদের চারপাশ। তবু তারা বেঁচে থাকেন সৃষ্টির সেরা জীব হওয়ার প্রকৃত সংজ্ঞাকে আলিঙ্গন করে।
কলামিষ্টঃ মোহনা ইসলাম ডিনা।
শিক্ষার্থী ও লেখিকা।
বাংলা বিভাগ, (মাষ্টার্স) বাগেরহাট সরকারি প্রফুল্লচন্দ্র (পিসি) কলেজ, বাগেরহাট।
কোন মন্তব্য নেই