Header Ads

Header ADS

ব্যতিক্রমধর্মী বিদ্যালয় বাগেরহাটের উদ্দীপন বদর-সামছু বিদ্যানিকেতন

 

মো.হেলাল।।বাগেরহাট।। 

আধুনিকতা আর শিল্প উন্নয়নের ভয়াবহ ছোবলে প্রতিনিয়তই হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের চারপাশের সোনালি সবুজে ঘেরা বিশাল সবুজের সমারোহ।আগের মত আর নেই খেলা ধুলার জন্য ধু ধু খোলা মাঠ। শিশু কিশোরদের বিনোদনের জন্য থাকছে শুধু কৃত্রিম ভাবে গড়ে ওঠা শিশুপার্ক অথবা বোটানিক্যাল গার্ডেন। 

এবার ব্যতিক্রম ধর্মী এক বিদ্যালযের দেখা মিলেছে বাগেরহাট সদর উপজেলার বৈটপুর গ্রামে। ছায়া ঘেরা এই গ্রামিন জনপদে গড়ে উঠেছে নয়নাভিরাম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।সম্পূর্ন বেসরকারি এ বিদ্যালয়টির নাম উদ্দীপন-বদর সামছু বিদ্যা নিকেতন। ঘর বান্দি ও বইমূখী শিশুকিশোরদের বিনোদনের জন্য এ বিদ্যালয় গড়ে তুলেছে ব্যাতিক্রমী উদ্দ্যোগ। 

শিক্ষার্থীদের বইভীতি দুর ও বিনোদনের জন্য বিদ্যালয় ক্যাম্পাসকেই গড়ে তোলা হয়েছে শিশু পার্কের আদলে,সেই সাথে রয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেন বা মুগ্ধ করা ফুলের বাগান। শিক্ষাভবনের পাশাপাশি রয়েছে রাস্তার দুইধারে বাহারি ফুল গাছের সারি। শিশুদের বিনোদনের জন্য রয়েছে দোলনা, রিং, স্লিপ সহ অনন্য বিনোদন সামগ্রী। ময়লা ফেলার বাষ্কেট গুলোকেও করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের জিনিসের (বোতল,ড্রাম) মডেলে। গ্রুপ স্টাডির জন্য ক্যাম্পাসেই মেলে দেয়া হয়েছে রঙ্গিন ছাতা। সব মিলিয়ে যেন এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। 

প্রথম দেখাতেই মনে হতে পারে কোন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অথবা কোন শিশুপার্ক। শিশুকিশোদের জন্য এ যেন এক প্রাকৃতিক পরিবেশ। অন্যদিকে শিশুকিশোদের মত এ বিদ্যালয়ের পরিবেশ এ মুগ্ধ অভিবাবক বৃন্দ। এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানকার ছাত্র-ছাত্রী হতে পরে নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করে। নবম শ্রেনির শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার জুই বলেন,আমাদের বিদ্যালযের মত এত সুন্দর বিদ্যালয় আমার চোখে পড়ে নি,এরকম একটি বিদ্যালয়ে পড়তে পেরে আমি গর্বিত। শাহরিয়ার রিফাত বলেন,আমাদের বিদ্যালয়ে অসংখ্য সুযোগ সুবিধা আছে। আমরা আমাদের বিদ্যালয় নিয়ে গর্ব করি, এমন বিদ্যালয় খু্ব কমই আছে। 

বিদ্যালয়ের পরিবেশ এমন ব্যতিক্রম কেন? জানতে চাওয়ায়,সামছু উদ্দীন নাহার ট্রাষ্টের চিফ ফ্যাসিলেটের সুব্রত মুখার্জি জানায়, বইয়ের প্রতি শিশুকিশোরদের একটু অন্যরকম মনোভাব আছে। সবাই বইকে বেশি ভয় পায়। সেই ভয় দূর করে, খেলার ছলে শেখার জন্যই এই পদ্ধতির অবলম্বন করা হয়েছে। 

বিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি জানতে চাওয়ায়,সহকারি শিক্ষক, ইকবাল হোসেন জানায়, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি A মান প্রাপ্ত বিদ্যালয়। গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে বিশেষ সুবিধা। বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও শিক্ষার মান অনন্য। এ ছাড়াও এ প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে সুজ্জিত কম্পিউটার ল্যাব,স্বাথ্যকেন্দ্র,স্মার্ট ক্লাস রুম,CLP ও ব্রিটিশ কাউন্সিল এর অধিনে বিদেশী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে ক্লাস করার সুযোগ। গনিত ও ভাষার ওপর রয়েছে আলাদা কর্মপ্রানালী। 

সব মিলিয়ে যেন এক ব্যতিক্রম পরিবেশ। গ্রামের এই বিদ্যালয়টি অল্পদিনেই ছাড়িয়ে যেতে পারে মিডিয়াম স্কুলগুলোকে।

স্কুলের ভিডিও

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.