পাটকেলঘাটায় মহেন্দ্র ও ইজিবাইক স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজির অভিযোগ
প্রতিকী ছবি
মো:রাজু আহম্মেদ; সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
পাটকেলঘাটায় দিনের পর দিন চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে প্রকাশ্য। পাটকেলঘাটা মহেন্দ্র ও ইজিবাইক শ্রমিকলীগের নামে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু সকলে চূপ রয়েছেন ।
ভুক্তভোগীরা জানান, টগর নামে একজন সিরিয়াল লেখার খাতা নিয়ে বসে থাকে। তিনি প্রতিটি মহেন্দ্র ও ইজিবাইকের মালিকের নাম লিখেন। এখানে নিয়ম করা হয়েছে, যারা এই রাস্তায় ৩ চাকার যানবহন চালাবেন এইখানে নির্দিষ্ট লোকের কাছে সিরিয়াল লেখাতে হবে। এরপর গাড়িপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা চাঁদা দিতে হবে। না দিলে কেউ গাড়ি চালাতে পারবেন না।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ওই স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন ৭০টি মহেন্দ্র ও ১৪৫টি থেকে ১৫০টি ইজিবাইক তালা হতে পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা হতে পাটকেলঘাটা, কেশবপুরের সাগরদাঁড়ী হতে পাটকেলঘাটা যাত্রী আনা-নেয়া করে। এসকল গাড়ি হতে প্রতিদিন এই চাঁদা আদায় করা হয়।
এছাড়াও হাইওয়ে পুলিশ ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের নামে নিজেদের লোক দিয়ে মাসিক চাঁদার টাকা আদায় করে পারকুমিরা গ্রামের সুমন কাগুজী, আলআমিন ও তার লোকেরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আদায়কারীরা বলেন, আমরা প্রতিদিন কালেকশনের টাকা হতে ৩০০ টাকা করে পাই। বাকি টাকা স্ট্যান্ডের দায়িত্বে থাকা সুমন কাগুজী ও তার লোকজন নিয়ে যায়।
পাটকেলঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, মহেন্দ্র স্ট্যান্ডে কোনো চাঁদাবাজি হয় কিনা আমার জানা নেই। আগে একগ্রুপ এখানে ইউনিয়ন চালাতো এখন আর একগ্রুপ দখল করে চালাচ্ছে। আমাদের দেখার বিষয় আইন-শৃঙ্খলা ঠিক আছে কিনা। যদি আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয় তাহলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
চুকনগর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ওসি মেহেদী হাসান বলেন, আমাদের নামে কোথাও টাকা উঠানো হয় কি না আমার জানা নেই। আমরা কোনো জায়গা থেকে টাকা নিই না। যদি কেউ আমাদের নামে টাকা উঠায় তাহলে অপরাধ করেছে। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি, ওই জায়গা থেকে কিভাবে স্ট্যান্ড সারানো যায়।
কোন মন্তব্য নেই