মোংলায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নানা অভিযোগের গণশুনানী
মোঃনূর আলম(বাচ্চু),মোংলা প্রতিনিধি :
মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে গণশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার( ২৭ জুলাই) সকালে সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত এ শুনানীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাহাত মান্নান, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন,অন্যান্য ইউপি সদস্য ও ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কয়েক’শ বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
শুনানীর বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাহাত মান্নান বলেন, সোমবার শুরু হওয়া তদন্ত চলমান রয়েছে। এটি শেষ হলে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। তবে তদন্তের প্রথম দিনে ইউপি সদস্য এম নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে যারা নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে ছিলেন, সে সকল অভিযোগের শুনানী চলাকালে আজ তারা তথ্য প্রমাণ উত্থাপন করতে পারেনি।
উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য এম নুরুল আমীন শেখ ২০১৬ সাল থেকে দায়িত্ব গ্রহনের পর নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। প্রাকৃতিক নানা দূর্যোগকালীন অবস্থায় সরকারি অর্থ অনুদান, ত্রান তৎপরতা, এলাকার দারিদ্র বিমোচনে উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডকে ঘিরে ভাগ্য বদলেছে তার। সদ্য কারোনাকালীন প্রধানমন্ত্রী ২৫০০ টাকার অর্থ সহায়তার টাকা গ্রামের নিরীহ মানুষের কাছ থেকে ভাগ বন্টন করে নিয়েছেন।
এমন অভিযোগ এনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ১০১ জন স্থানীয় বাসিন্ধা। এ নিয়ে সংবাদ প্রচার হয় কয়েকটি জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায়। গেল ২৫ জুলাই প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে মোংলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন,অভিযুক্ত ইউপি সদস্য এম নুরুল আমীন শেখ। এর পর ওই বিষয়টি তদন্ত করতে গন শুনানির আয়োজন করে স্থানীয় প্রশাসন।
ইউপি সদস্য এম নুরুল আমিন বলেন, আমি ৮ জন প্রতিদ্বন্ধীর সাথে প্রতিদ্বন্ধীতা করে মেম্বর নির্বাচিত হই। সেই থেকে আমার নির্বাচনী ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আমাকে হয়রানী ও সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য তাদের অনুগত লোক দিয়ে মিথ্যা কাল্পনিক অভিযোগ সাজিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করে।
সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: কবির হোসেন বলেন, অভিযোগকারীরা সে সকল অভিযোগ করে ছিলেন,তার কোন প্রমাণ দিতে পারেনি। সেই দৃষ্ঠিতে আমার কাছে মনে হয়েছে, তার রাজনৈতিক ও পরাজিত প্রতিপক্ষরাই ষড়যন্ত্রমুলকভাবে এ মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপিত করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই