করোনাঃ সাজসজ্জার ব্যাবসায় লোকসান,ভালো নেই মালিক- শ্রমিক
স্টাফ রিপোর্টারঃ
করোনার প্রভাবে সারা বিশ্ব স্তব্দ প্রায়।অধিকাংশ দেশ/ ভুখন্ড এখনো লগডাউনের অাওতাধীন। বাংলাদেশ ও তার ব্যাতিক্রম নয়।দীর্ঘদিন লগডাউন ও সাধারন ছুটির পর মাত্র কযেকদিনের জন্য সামাজিক দুরত্ব মানার স্বত্বে খুলে দেয়া হয়েছিল ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান -গার্মেন্টস - শিল্পকারখানা ও গনপরিবহন। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় অাবার ও জোন ভিত্তিক ব্যাবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
করোনার এই ভয়াবহ সময়ে বেকার হয়ে পড়েছে অনেক বেসরকারি -কম্পানি অথবা প্রজেক্টে চাকরি করা সাধারন মানুষ।অনেকেই ভুগছে অার্থিক সংকটে।
সামাজিক দুরত্ব মানে চলাচল এর বিধান থাকলেও গনজমায়েত নিশিদ্ধ।তাই বিবাহ অনুষ্ঠান-সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান -কুলখানি সহ অধিকাংশ গনজমায়েত পুর্ন অনুষ্ঠান এখন বন্ধ অাছে।এ কারনে সবচেয়ে বেশি বিপদ ও ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে ডেকরশন ব্যাবসার সাথে জড়িত মালিক শ্রমিক গন। দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় কাজ কোন নেই তাদের।ফলে তারা পার করছে মানবেতর জীবন।
এই ব্যাবসার সাথে জড়িত থাকা অনেক শ্রমিক ই এখন পেটের টানে ভ্যান রিকশা চালানো শুরু করেছে।
কিন্তু মালিক পক্ষ কি করবে? তারা অাছে অারো বিপদে! ব্যাবসা বন্ধ থাকায় সম্মানের খাতিরে না পারছে অন্য কোন কাজ করতে, না পরছে ঘরে বসে থাকতে। দীর্ঘদিন ব্যাবসা বন্ধ থাকায় অনেকেরই গচ্ছিত টাকা শেষের পথে -কষ্টে শিষ্টে দিন চালাতে হচ্ছে অনেকের।
এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে বাগেরহাটের বেশ কয়েকজন ডেকরেটর ব্যাবসায়ী জানায়, অামাদের কাজ মানুষ নিয়ে,বিয়ে বাড়ি-কুলখানি-অথবা জাতীয় দিবস পালনের জন্য অামরা সাজসজ্জা করে থাকি। কিন্তু দীর্ঘদিন অানুষ্ঠানিক বিয়ে কুলখানি -জাতীয় দিবস কোনটাই বড়করে পালন হয় না।ফলে অামাদের কাজ নেই।শ্রমিকরা সব কাজের সন্ধানে কেউ কেউ ভ্যান রিক্সা চালাচ্ছে। হঠাৎ করে কাজ বন্ধ হওয়ায় শ্রমিকরা অনেকে টাকাও পাবে প্রতিষ্ঠানের কাছে।অন্যদিকে অামাদের কাছেও গচ্ছিত টাকা শেষের পথে।এই ভয়ানক পরিস্থিতি কবে শেষ হবে, কবে অাবার কাজ পাবো তা শুধু অাল্লাহ জানে।
ওমর অালী নামক এক সাজসজ্জায় নিয়োজিত শ্রমিক জানায়,অামরা দীর্ঘদিন ধরে অনেকেই যে কোন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। যার ফলে মালিকের সাথে অামাদের অান্তরিক সম্পর্ক। হঠাৎ করে লগডাউন হওয়ায় মালিকের ব্যাবসা বন্ধ-অামাদের কাজ বন্ধ-ফলে অামাদের না খেয়ে থাকার অবস্থা।
করোনার প্রভাবে অনন্য ব্যাবসার তুলনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখিন ডেকরেটর ব্যাবসা।সাধারন দোকানগুলো সীমিত সময়ের জন্য খুললে কিছু না কিছু বেচাকেনা হয।কিন্তু ডেকরটের ব্যাবসায় সে সুযোগ সেই বললেই চলে।দীর্ঘদিন ধরে অায় হার বাইনারি সংখ্যার ভেতর সীমাবন্ধ।
শুধু বাগেরহাট নয় সারাদেশের ডেকরেশন ব্যাবসার একই অবস্থা বলে অনুমান করা যাচ্ছে।এই প্রতিকুল সময়ে ডেকরেটর ব্যাবসায়ীরা কতৃপক্ষের কৃপা দৃষ্টি কামনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই